চেয়ারম্যানের একটি বার্তা

আপনাকে স্বাগতম শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদায় মন্দির - বৈদিক প্ল্যানেটারিয়ামের মন্দির.

আপনি প্রকল্পের সাথে ইতিমধ্যে পরিচিত, বা নতুন দর্শনার্থী হয়ে থাকুন না কেন, আমরা আশা করি যে এই সাইটটি তথ্যমূলক পাশাপাশি অনুপ্রেরণামূলক হবে।

শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদায় মন্দির - বৈদিক প্ল্যানেটারিয়ামের মন্দির, হল ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসায়নেসের বিশ্ব সদর দপ্তর, যা তাঁর দিব্য অনুগ্রহ এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। প্রকল্পটি শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শ্রী মায়াপুরে অবস্থিত।

শ্রীল প্রভুপাদ, যিনি মায়াপুরে এসেছিলেন কিছুই না নিয়ে, 1970 এর দশকের গোড়ার দিকে প্রকল্পটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শ্রীল প্রভুপাদ প্রাথমিকভাবে কিছু সময়ের জন্য একটি সাধারণ ভজন কুটিরে বসবাস করেছিলেন, এবং তারপরে, লোটাস বিল্ডিংটি নির্মিত হয়েছিল, যা ইসকনে নির্মিত প্রথম ভবনে পরিণত হয়েছিল। সেই সময় থেকে, শ্রীল প্রভুপাদের দর্শন এবং অগণিত ভক্তদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে, এই প্রকল্পটি ভক্তিমূলক সেবার অনেক ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যার মধ্যে শ্রী শ্রী রাধা-মাধবের সুন্দর রূপ এবং তাদের আটটি সখী, শ্রী শ্রী পঞ্চ-তত্ত্ব রয়েছে। , এবং শ্রী শ্রী প্রহ্লাদ-নৃসিংহদেব। পরিদর্শন করুন www.mayapur.com আরও তথ্যের জন্য.

শ্রীধাম মায়াপুরের জন্য শ্রীল প্রভুপাদের সবচেয়ে লালিত স্বপ্ন ছিল তাঁর সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি। শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদায় মন্দির - বৈদিক প্ল্যানেটারিয়ামের মন্দির. তিনি একটি সুন্দর মন্দিরের কল্পনা করেছিলেন, যা সারা বিশ্বের মানুষকে চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থানে নিয়ে আসবে। তিনি মন্দিরটিকে একটি বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম হতে চেয়েছিলেন, যা সমস্ত বৈদিক সাহিত্য এবং বৈদান্তিক দর্শনের সারমর্ম শ্রীমদ্ভাগবতম অনুসারে মহাবিশ্বকে উপস্থাপন করবে। বৈদিক প্ল্যানেটেরিয়াম সরাসরি মহাবিশ্বের স্বীকৃত আধুনিক সংস্করণকে চ্যালেঞ্জ করবে এবং বৈদিক সংস্করণের বৈধতা প্রতিষ্ঠা করবে, সেইসাথে আধুনিক নাস্তিকতার ব্যাপকতাকে প্রতিরোধ করার জন্য বিজ্ঞানকে ব্যবহার করবে। শ্রীল প্রভুপাদ মহাবিশ্বকে একটি প্রদর্শনীতে প্রদর্শনের প্রস্তাব করেছিলেন, যা দর্শককে বস্তুগত মহাবিশ্বের মধ্য দিয়ে আধ্যাত্মিক জগতে নিয়ে যাবে; সবই শ্রীমদ্ভাগবতে পাওয়া বর্ণনা অনুসারে। শ্রীল প্রভুপাদ এই প্রদর্শনীর পাশাপাশি একটি বিশেষভাবে নির্মিত গম্বুজ বিশিষ্ট একটি সুন্দর মন্দির চেয়েছিলেন। মন্দিরটিতে বৈদিক কসমোলজি ইনস্টিটিউটও থাকবে যা মহাবিশ্বের বৈদিক বিবরণ নিয়ে গবেষণা এবং আলোচনা চালিয়ে যাবে।

গত দুই বছরে, বৈদিক প্ল্যানেটোরিয়াম টিমের মন্দির শ্রীল প্রভুপাদের বহু বছর আগে নির্ধারিত পরামিতি অনুসারে প্রকল্পটির জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে। এই প্রচেষ্টার সাথে অনেক ভক্ত জড়িত আছে, যাদের অধিকাংশই শ্রীল প্রভুপাদের প্রেমের শ্রম হিসাবে অগণিত ঘন্টার সেবা উৎসর্গ করেছেন। আমরা এই ভক্তদের প্রতিশ্রুতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি, যাদের মধ্যে অনেকেই তাঁর দিব্য অনুগ্রহের নবীন দ্বিতীয় প্রজন্মের অনুসারী। আমরা আশা করি যে এখানে তৈরি দৃষ্টিভঙ্গি আগামী বছরগুলিতে উদ্ঘাটিত হওয়ার সাথে সাথে এই প্রকল্পের সাথে জড়িত হতে যারা পরিদর্শন করবে তাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করবে।

দয়া করে প্রায়শই ঘুরে দেখুন, যেহেতু আমরা সামগ্রীটি সতেজ এবং আপ টু ডেট রাখার চেষ্টা করব। বৈদিক প্ল্যানেটরিয়াম দলের মন্দিরে আমরা সকলেই বিনীতভাবে শ্রীল প্রভুপদ, পূর্ববর্তী আচার্য্য এবং সমস্ত বৈষ্ণবদের আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি। এটি এমন একটি প্রকল্প যা বহু বছরের জন্য নিবেদিতপ্রাণ ভক্তরা এগিয়ে চলেছেন। আমরা আশা করছি যে শ্রী গুরু এবং শ্রী গৌরাঙ্গার করুণার দ্বারা, এই স্মরণীয় প্রচেষ্টা শীঘ্রই ফলস্বরূপ হবে।

তোমার বিনীত দাস,

আম্বরিসা দাস